To see this you need to Install at least one Bengali Unicode Font. Plus you have to E na
Enable Complex Scripts from your P.C.
টাইপরাইটারের ইতিবৃত্ত :-
টাইপরাইটারকে Mechanical Desktop Typewriters ও বলা হয়। ১৮৭০ সাল থেকে এই মেশিনটির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ফলে নানান গবেষনাও শুরু হয়। ১৮৭০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত প্রায় এক শতকেরও বেশি সময় ধরে এই যন্ত্রটিই ব্যবহৃত হত to record the written words; before the Computers came out in the market. এখন কেবল আদালতে ব্যবহৃত হয়। roB K n X�e H h ypewriter Company, Emetson etc.এদেরমধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম টাইপরাইটার কোম্পানি (বিতর্কিত) হল E. Remington and Sons (১৮১৬-১৮৯৬)। প্রতিষ্ঠাতা হলেন Eliphalent Remington in New Yourk, USA. এটি মূলত একটি রাইফেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ছিল প্রথমদিকে, পরে তারা টাইপরাইটার আর্মিকে সাপ্লাই দেবার জন্যে টাইপরাইটার তৈরী শুরু করে।
ভারত সহ দঃ পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে গোদরেজের টাইপরাইটারগুলি। কারণ এরা নানান ভাষায় টাইপরাইটার তৈরী করে।
বাংলা টাইপরাইটার – ই. রোমিংটন প্রথম বাংলা টাইপরাইটার প্রস্তুত করেন এবং সেটিকে বাজারজাত করেন ১৯৪০ সালে। উল্লেখ্য যে এইসময় কোলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারিদের দেশীয় ভাষায় শিক্ষা দেবার জন্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্হাপিত হয়ে গেছে এবং বাংলা ছাপাখানার জন্যে শিশাক্ষর প্রস্তুত করে বাংলায় বই ছাপানো হয়েছে। এই বাংলা টাইপরাইটারটি তারও পরে তৈরী। মূলত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাজের জন্যেই এটি প্রস্তুত করা হয়। কারণ সেইসময় বাংলা ভাষা একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ভাষা ছিল। ইংল্যান্ড থেকে লোক এসে বাংলা ভাষা শিখে কোম্পানির চাকরি করত। যাইহোক বিভিন্ন জটিলতা থাকায় এবং নির্ভুল বাংলা না টাইপ করতে পারায় এটি জনপ্রিয় হয়নি। রোমিংটনের বাংলা টাইপরাইটার ব্যর্থ হবার পরে বাংলাদেশের এ. এন. এম মুনীর চৌধুরী ১৯৬০ সাল নাগাদ বাংলা টাইপরাইটারকে আরও ইন্নত করার প্রজেক্ট নেন। এরপর ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি নতুন বাংলা কিবোর্ড লেআউট প্রকাশ পায় যার নাম ছিল মুনির কিবোর্ড। মুনিরই প্রথম বৈজ্ঞানিকভাবে বাংলা ভাষা ও লিপিকে বিশ্লেষন করে এই নতুন কি-লেআউট বানান বাংলা টা্ইপরাইটারের জন্যে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মুনির সহ তৎকালিন বাংলাদেশের নানান বুদ্ধিজীবিদের অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং গুম করে দেয়। আজও এদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে E. Romington Typewriting Company এই লে-আউট নিয়ে তৈরী বাংলা টাইপরাইটার বাজারজাত করে ‘মুনির অপটিমা’ নামক ব্রান্ড নামে। এটি বাংলাদেশে প্রভূত জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরে এই টাইপরাইটারের লে-আউট অনুসরন করে ভারতের Godrej & Boyce কোম্পানি ‘প্রিমা’ নামক ব্রান্ড নামে বাংলা ম্যানুয়াল টাইপরাইটার বাজারজাত করে। পরে গোদরেজ ভারতের নানান ভাষায় টাইপরাইটার বাজারজাত করে।
এরপরে টাইপরাইটারের প্রযুক্তিতে বিবর্তন আসে। প্রথমে সাধারণ হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতির দ্বারা তৈরী ম্যানুয়েল টাইপরাইটার ছিল তারপরে এল ইলেকট্রনিক টাইপরাইটার। ‘ক্যানন দেশবাংলা’ নামক ইলেকট্রনিক টাইপরাইটার বাজারে আসে। এতে ক্যানন কোম্পানি ‘দেশবাংলা’ নামক একটি নতুন কিবোর্ড লে-আউট ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের বাংলা একিডেমী এই টাইপরাইটারটিকে অনুমোদন করে। কিন্তু পরে কম্পিউটার চলে এলে ইলেকট্রনিক টাইপরাইটার বিলুপ্ত হয় সাথে সাখে বিলুপ্ত হয় ক্যাননের দেশবাংলাও।
মুনির চৌধুরীই হলেন প্রথম বাংলা ভাষাকে আদুনিক করার প্রথম পথিকৃৎ। এনাকে আমরা ভুলব না কখনও।
ইংরেজি টাইপরাইটার – যতদুর জানা গেছে যে Christopher Latham Shules, S. W. Soule and G. Glidden প্রথম আধুনিক টাইপরাইটার তৈরী করেন ১৮৬৬ সাল নাগাদ। সোলস এই টাইপরাইটারটির পেটেন্ট জনৈক ডেনসমোর নামক একজনকে বিক্রি করে দেন। ডেনসমোর নিউইয়র্কের E. Romington & Sons নামক একটি বন্দুক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করে “সোলস গ্লিডেন’’ নামের একটি টাইপরাইটার ১৮৭৩/১৮৭৪ সালে বাজারজাত করে। এই মেশিনটির প্রধান অন্তরায় ছিল যে এটিতে কেবলমাত্র ইংরেজির ২৬টি Capital Letter টাইপ করা যেত তারফলে এটি তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এরপরে ই. রোমিংটন ১৮৭৮ সালে দ্বিতীয়বার একটি টাইপরাইটার বাজারজাত করে। এটিতে শিফট বোতামের সাহায্যে ইংরেজি Small Letter টাইপ করা সম্বভ হয় এবং ট্যাব বোতামের সাহায্যে মার্জিন ও অ্যালাইন ঠিক-ঠাক করা যেত।
সেই সমযকার কিছু বিখ্যাত টাইপরাইটার কোম্পানি- E. Remington and Sons, IBM, Imparial Typewriters, Olive Typewriter Company, Olivetti, Royal Typewriter Company, Smith Corona, Underwood Typewriter Company, Emetson etc.
এদেরমধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ও প্রথম টাইপরাইটার কোম্পানি (বিতর্কিত) হল E. Remington and Sons (১৮১৬-১৮৯৬)। প্রতিষ্ঠাতা হলেন Eliphalent Remington in New Yourk, USA. এটি মূলত একটি রাইফেল প্রস্তুতকারক কোম্পানি ছিল প্রথমদিকে, পরে তারা টাইপরাইটার আর্মিকে সাপ্লাই দেবার জন্যে টাইপরাইটার তৈরী শুরু করে।
ভারত সহ দঃ পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে গোদরেজের টাইপরাইটারগুলি। কারণ এরা নানান ভাষায় টাইপরাইটার তৈরী করে।
No comments:
Post a Comment